সমুদ্র সৈকতের মালিকানা সরকারের হাতে থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা বিচের দখল এখন স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক গ্রুপের কাছে। বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সমুদ্র সৈকতের প্রতি হাত জায়গা এখন ২০০ টাকা করে মাসিক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে করে প্রতিটি দোকানিকে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা সৈকতের মাটি ভাড়া দিতে হয়।
পাশাপাশি প্রভাবশালীরা সৈকতের জমি দখল করে অনেকটা নির্বিঘ্নে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে করে সমুদ্র সৈকত যেমন তার সৌন্দর্য হারিয়েছে, তেমনি এখানকার পর্যটন বান্ধব পরিবেশও নষ্ট হয়েছে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দখলদারদের কাছে অনেকটাই অসহায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না উপজেলা ভূমি অফিস।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে গড়ে উঠছে পাকা স্থাপনা এবং পশ্চিম পাশে সৈকত লাগোয়া জিও টিউবের পাশ থেকে শুরু করে মূল বেড়িবাঁধ পর্যন্ত গড়ে তোলা হচ্ছে কাঠের স্থাপনা। এসব জমিতে শামুক, ঝিনুক, বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী, শুঁটকি সহ কাঁচা সামুদ্রিক মাছের দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি দোকান ভাড়া বাবদ পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং অগ্রিম বাবদ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।
কুয়াকাটা সৈকতের দখল নিয়ে স্থানীয় এমপি মুহিব্বুর রহমান মুহিব বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'একটি দখলদার চক্র কুয়াকাটাকে নষ্ট করছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে কুয়াকাটার পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তারা নষ্ট করছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।'
এ বিষয়ে পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস জানান, সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম পাশের বিচ শাহ জালাল নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশের মাধ্যমে ভোগ দখল করছেন। এ কারণে জেলা প্রশাসন ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। এ ছাড়া সরকারি অন্য সব জমিতে কাঁচা কিংবা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে বাধা প্রদান কিংবা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।