গত ২৭ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ জন। এদের মধ্যে ৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও বাকিরা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা সবাই ঢাকা থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, আসন্ন কোরবানি ঈদে যারা রাজধানী ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসবে তাদের মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েই চুয়াডাঙ্গায় আসবে বলে ধারণা করছেন জেলার সিভিল সার্জন। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ঈদে বৃদ্ধি পেতে পারে এ নিয়ে একেবারেই শঙ্কিত নয় সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিভাগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত ২৭ জুলাই রাত থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির রোগীর সংখ্যা ২২ জন। এদের মধ্যে তিন বছরের একজন শিশুও রয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা অথবা ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, শুক্রবারও কার্নিজ ফাতেমা নামের এক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গার মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা।
তার স্বামী মামুন জানান, তারা দুজনেই ঢাকায় চাকরি করেন। গত তিনদিন আগে ঢাকায় তার স্ত্রীর ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবীর জানান, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু জোন তৈরি করা হয়েছে। ঈদে বাড়তি ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে নতুন ভবনের একটি ফ্লোর প্রস্তুত রয়েছে আক্রান্ত রোগীদের জন্য।
সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঈদে বাড়তি ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে ইতোমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তের জন্য রোগীদের যে কিট এর প্রয়োজন তাও হাসপাতালে রয়েছে। সুতরাং বাড়তি চাপ যতোই হোক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে সবরকম প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।