যশোরের শার্শা উপজেলার গোগার কালিয়ানি গ্রামে নিহত নূর জামাল ওরফে ছোট বাবুকে (২৪) হত্যার অভিযোগে তার ৫ বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যা কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাকুও জব্দ করা হয়েছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্ধুরা ছোট বাবুকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। ছোট বাবু যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের নজর আলীর ছেলে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সালাউদ্দিন সিকদার এই তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমদ, শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমান প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই নিহত ছোট বাবুকে তার বন্ধুরা সাতক্ষীরা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে ঝিকরগাছায় নিয়ে আসে। পরে ফেনসিডিল সেবনের নাম করে বেনাপোলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।’
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝিকরগাছার মোবারকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ওরফে বাবলু ডাক্তারের ছেলে তাজরিয়ান মাহমুদ তুর্য্য (২০), ইমরান রেজা খোকনের ছেলে তাহজীবুল বিশ্বাস অক্ষর (২১), মল্লিকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম (২২), মোবারকপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আবু জাফর (১৯) এবং কামরুল ইসলামের ছেলে শাহিন হোসেনকে (২১) আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ছোট বাবুর পিতা এক সময় ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। তার পিতার সঙ্গে মায়ের তালাক হয়ে যাওয়ার পর সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলারা মাঝিপাড়া গ্রামে থাকতেন। সে মাদক সেবন করতেন নিয়মিত। সেখানে তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন ও মাদক সেবন করতেন।
প্রায় সময় বন্ধু তুর্য্যর মোটরসাইকেলটি নেয়ারও বায়নাও করতেন ছোট বাবু। না দেওয়ায় টাকা চাইতেন সে। একপর্যায়ে বন্ধুদের সঙ্গে তার সম্পর্ক শত্রুতায় রূপ নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ জুলাই তাকে সাতক্ষীরা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসে বন্ধুরা। এরপর আসামি সাজ্জাদের পরিকল্পনায় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছোট বাবুসহ ৬ জন ফেনসিডিল সেবনের জন্য বেনাপোল যান। সেখানেই তাকে হত্যা করে তারা ঝিকরগাছায় ফিরে আসে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ছোট বাবু নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বড় ভাই বড় বাবু ১৬টি মামলার আসামি। ছোট বাবুর নামে ঢাকার দারুস সালাম থানায় একটি মামলা আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পলাতক এক মাত্র আসামি আল আমিনকে আটকের চেষ্টা চলছে।