লক্ষ্মীপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ কারণে জেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু ভীতি। তবে ভীতি এড়াতে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিংও করা হচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরে ঘরমুখো মানুষগুলোর আগমন নিয়েও স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক রয়েছে।
এদিকে জেলাব্যাপী ডেঙ্গু আতঙ্ক মানুষের মনে দানা বেঁধে উঠেছে। প্রতিদিনই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যায়। ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে প্যাথলজিগুলোতে মানুষ হুমড়ি খাচ্ছে। মানব কল্যাণে এগিয়ে আসতে কয়েকটি প্যাথলজিতে নির্ধারিত মূল্য থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ও দিতে দেখা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ১৮ জন ভর্তি রয়েছে। এছাড়া রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৪ জন ভর্তি রয়েছে। জেলা প্রশাসন, লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর পৌরসভার উদ্যোগে জেলাব্যাপী ডোবা-ড্রেনগুলোতে মশা নিধন স্প্রে ও সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বিভিন্নস্থানে ময়লা পানি নিষ্কাশন করে ড্রেন ও খালের আবর্জনা অপসারণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সচিব মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর যেন না ছড়ায় তাই এখন প্রতিদিনই স্প্রে করা হচ্ছে। আমাদের মাইকিং ও স্প্রে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, জেলার ৫টি উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। আক্রান্তরা ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে জ্বর নিয়ে লক্ষ্মীপুরে এসেছে। জেলায় যেন এই রোগ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্তদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।