লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দিদার হোসেন বাবলুকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার চেষ্টা মামলায় ৫ যুবলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, ‘আদালতের বিচারক জুয়েল দেব আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলা চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সোহেল, রাজু, আজাদ ও মো. রহিম। এর আগে ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জুয়েল নামে একজন কারাগারে রয়েছেন। শাকিল ও সাইফুল নামে দুই আসামি জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ: যুবলীগ নেতা প্রধান আসামি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা রিয়াজের নেতৃত্বে তার লোকজন গত ৩০ মে রাতে সদরের চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাটে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিদার হোসেন বাবলুকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
অপহরণের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার বোবাকান্দি এলাকার একটি ইটভাটা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাবলুকে উদ্ধার করে। অপহরণের পর চোখ বেঁধে ডান পায়ের হাঁটুর নিচে দুটি গুলি করার অভিযোগ করেন বাবলু। এসময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ ঘটনায় ১ জুন বাবলুর বড় ভাই শহিদুল আলম লিটন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা রিয়াজসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।