দুশ্চিন্তায় মেহেরপুরের গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা

মেহেরপুর, দেশের খবর

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর | 2023-08-15 07:22:30

গো-খাদ্য বিক্রির টাকা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন মেহেরপুর জেলার গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আযহায় কোরবানির পশু বিক্রির পরে বকেয়া টাকা আদায় হয়। তবে এবার গরু বেচাকেনায় চাঙা ভাব না থাকায় গরু মালিক ও ব্যাপারীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। 

জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার লক্ষাধিক কোরবানি উপযোগী গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানি উপযোগী গরুর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এই গরুগুলো প্রান্তিক চাষিরা বেশি পালন করে থাকেন। খামার পর্যায়ে এর সংখ্যা বেশি নয়।  

বেচাকেনা নিয়ে একটি চাপা সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান গো-খাদ্য ব্যবসায়ী 

 

জানা গেছে, প্রান্তিক চাষিদের বসত বাড়ির আঙিনায় একটি দুটি করে গরু পালন করা হয়ে থাকে। যার প্রধান খাদ্য গমের ভুষি, চাল, খুদ, পালিস, খৈল ও খড়। খড় স্থানীয়ভাবে কেনাবেচা হলেও বাকি খাদ্য দোকান থেকে কেনা হয়। দরিদ্র চাষিদের বেশিরভাগ বাকিতে গো-খাদ্য কিনে থাকেন। কোরবানির পশু বিক্রি হওয়ার পর দোকানের টাকা পরিশোধ করেন।

বামন্দী বাজারের গো-খাদ্য বিক্রেতা সজিব এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহেল রানা বলেন, বাকিতে গো-খাদ্য বিক্রি করে প্রায় এক বছর পর টাকা পাওয়া যায়। গরু পালন বেড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গো-খাদ্যের দোকান গড়ে উঠেছে। যারা কোটি কোটি টাকা বাকিতে গো-খাদ্য বিক্রি করে থাকেন।

গো-খাদ্য বিক্রেতা কয়েকজন বলেন, প্রতি বছর কোরবানির দুই সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকের বাড়ি থেকে গরু বিক্রি হয়ে যায়। এবার বিক্রি কম হচ্ছে। গেল বছর কোরবানির পশু হাটের শেষের দিকে গরু বিক্রি কম হওয়ায় ব্যাপারীরা কম পরিমাণে গরু ক্রয় করছেন। ফলে বেচাকেনা নিয়ে একটি চাপা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম সংকট নাকচ করে বলেন, এবারে ভারতীয় গরু আসছে না। ফলে দেশীয় গরু অবশ্যই ভালো দরেই বিক্রি হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর