টুংটাং শব্দে ব্যস্ত তারা..

ঠাকুরগাঁও, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, ঠাকুরগাঁও | 2023-08-20 14:33:06

সকাল হতেই শুরু হয় টুংটাং শব্দে প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা। এভাবে চলে সারাদিন। বছরজুড়ে তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে দেখা যায় বেশ ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততা নিয়ে কথা হচ্ছিল ঠাকুরগাঁওয়ের কামারদের সঙ্গে।

সোমবার (৫ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চোখে পড়ে কামারের ব্যস্ততা।

তারা জানান, কিছুদিন পরেই কোরবানি ঈদ আসছে। সারাবছর তেমন কোনো ব্যস্ততা না থাকলেও কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় কাজের চাপ।

তবে ঈদ উপলক্ষে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে প্রতিটি পণ্যের অভিযোগ ক্রেতাদের। কোন উপায় না পেয়ে এই দামেই পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

নতুন-পুরাতন দা-বটি ধার দিতে ব্যস্ত কামাররা 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন দা, বটি, চাকু তৈরি ও পুরাতন গুলোতে ধার দিতে ব্যস্ত কামাররা। তবে আগের তুলনায় এবারে প্রতিটি জিনিসের দাম নেয়া হচ্ছে একটু বেশি। একটি বড় দা নেয়া হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, চাপাতি ৩০০ থেকে ৪০০ এর মধ্যে, বড়-ছোট বিভিন্ন আকারের ছোড়া নেয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০, বটি নেয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি পুরনো দা-বটি ধার করাতেও নেয়া হচ্ছে একটু বেশি টাকা।

শহরের ব্রিজ এলাকার কামার আল-আমিন ইসলাম জানান, গত বছর থেকে এ বছর কয়লা, লোহা, ধার দেয়ার পাথর সহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। যার জন্য প্রতিটি পণ্য দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। বছরে এই একবারেই আসে যখন আমাদের কাজের চাপ বাড়ে। ঈদের আগ পর্যন্ত যা আয় হয় সেটা দিয়েই আমাদের ঈদ করতে হয় পরিবার নিয়ে।

দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের 

 

এই দোকানে কোরবানির জন্য দা বানাতে এসেছেন আব্দুল কাইয়ুম নামে এক ক্রেতা। তিনি জানান, এখানে এসেছি নতুন একটি বড় দা আর বাসার কিছু ছোট কাচি ধার করাবো বলে। কিন্তু এসে  দেখলাম আগের তুলনায় দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। কি কারণে নেয়া হচ্ছে  কামারদের এমন প্রশ্ন করলে তারা বলে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।

শহরের কালীবাড়ি এলাকায় কামারির দোকানে এসেছে রশিদ নামের এক ক্রেতা। তিনি জানান, গতবার এসেছিলাম এই দোকানে কোরবানির জন্য দা, ছুরি বানাতে। কিন্তু এবারে তারা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে একটি দা ও তিনটি ছোট ছুড়ি বানিয়ে নিলাম।

ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির সরঞ্জাম বিক্রিও চলছে

 

পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে আব্দুর রশিদ নামে এক কামার জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে কারেন্টের বিলও বাড়ছে। এদিকে ঈদের জন্য কাজে চাপ বেশি। যার জন্য দুইজন কর্মচারী সঙ্গে নিতে হয়েছে। তাদের হাজিরাও বেড়ে গেছে। এজন্য প্রতিটি পণ্যের দাম আমার একটু করে বাড়িয়ে নিচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর