পাবনাতে এডিস মশা ও মশার লার্ভার অস্তিত্ব নেই। গত ৩১ জুলাই থেকে পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালায়। তবে তারা জেলার কোথাও এডিস মশা ও মশার লার্ভার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এসব তথ্য জানান পাবনা সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল।
তবে পাবনা সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের বক্কার মালিথার ছেলে রঞ্জু মালিথা (১৮) গত ৫ দিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ৯ নং বেডে ভর্তি রয়েছেন।
রঞ্জুর দাবি- গত ৪ মাস ধরে পাবনাতে রয়েছেন তিনি। অথচ পাবনা জেলাতে বসেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল জানান, পাবনার বাইরে না যাওয়া রোগী কীভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
আর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মুহম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা অন্য কোনো যানবাহনে ভিন্নভাবে এডিস মশা পাবনায় চলে আসলে সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু স্থানীয় পর্যায়ে বিস্তার ঘটাতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আল আকসার আনন জানান, হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীরা রাজধানী থেকে আক্রান্ত হয়ে পাবনায় এসেছে। এদের মধ্যে শুধু রঞ্জু মালিথা পাবনাতে ছিলেন। তাই রঞ্জু মালিথা কেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়টি জানতে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ জনে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫৪ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৫ জন।