রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকার উদ্দেশে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে গরুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাই বেশি।
ঘাট এলাকায় গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর থেকে গরুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে গেলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গরুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালেও দেখা যায় পদ্মা নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহনগুলো। চার থেকে পাঁচঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করার ফলে বেশি বিপাকে পড়েছে গরু ব্যবসায়ীরা।
গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি সময় মতো তারা গরুগুলোকে হাটে তুলতে না পারেন তাহলে তাদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার ফলে তাদের গরুগুলোও অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন।
যশোর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ঘাটে এসেছি। এখনো একই স্থানে পড়ে আছি। অথচ এখন ঢাকায় থাকার কথা ছিল।’
দৌলতদিয়া ঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘গতকাল থেকে গরুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে। যার কারণে ঘাটে কিছুটা বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে আমরা কোরবানি ঈদের কথা মাথায় রেখে গরুবাহী ট্রাকগুলোকে সিরিয়াল মতো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে এখন ১৬টি ফেরি চলছে। দুটি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় তা চালানো হচ্ছে না। তবে আজ রাতের মধ্যেই আরও দুটি ফেরি এই রুটে যুক্ত হবে।