সংযোগ সড়ক না থাকায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে লন্ডনি খালের উপর নির্মিত পাকা সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না। সংযোগ সড়কের অভাবে ছয় গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পার হচ্ছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সেতু নির্মাণের পর গ্রামবাসীরা অনেক আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় গ্রামবাসীর সেই আনন্দ বেদনায় পরিণত হয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়নের বায়রাউড়া গ্রামে লন্ডনি খালের উপর নির্মিত হয়েছে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের পাকা সেতু। ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৫ টাকা ব্যয় করে সেতু নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিলয় এন্টারপ্রাইজ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বায়রাউড়া ও দারিয়াপুর গ্রামের সংযোগস্থলে খালের উপর ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েক মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতু পার হতে দুপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে সেতুটি পানি বেষ্টিত হয়ে পড়ে আছে। ফলে বায়রাউড়া, পাছারকান্দা, কোনাপাড়া, দারিয়াপুর, অচিন্তপুর বীরপুর গ্রামের বাসিন্দারা খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়ে বইখাতা, জামা-কাপড় নষ্ট করছে।
বায়রাউড়া গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘সেতু করছে, কিন্তু সেতু পার অওনের কোনো রাস্তা নাই। কবে মাটি ফালাইয়্যা রাস্তা করবো কে জানে। রাস্তা না অইলে এই সেতু গেরামের মাইনষ্যের কোনো উপকারে লাগবো না।’
লণ্ডনি খাল পাড়ের বাসিন্দা ছামছুন্নাহার বলেন, ‘বর্ষা মাইস্যে বাঁশের সাঁকো পানিত ডুইব্যা যায়। তহন গেরামের মেয়ে-ছেলে পানি ভাইঙা খাল পার অয়। সেতুর রাস্তাডা অইলে তো আমরার আর এই কষ্টডা করা লাগত না।’
গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, বর্ষার পানির জন্য সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যাচ্ছে না। পানি কমলে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।