পাবনায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৪০ জন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।
এদিকে, পাবনার এই সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত কিট সরবরাহ না থাকায় ব্যক্তিমালিকানা হাসপাতাল ও ডায়গোনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ভিড় বাড়লেও সেখানে মিলছে না পর্যাপ্ত কিট।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত মঙ্গলবার দুপুরে জানান, সোমবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ জন। গেল রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন আরও ১৫ জন। ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডা. রঞ্জন বলেন, ‘গত ২৬ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১১ জন। ভর্তিকৃত রোগীর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে একাধিক চিকিৎসক জানান, পাবনায় ডেঙ্গুবাহী মশার অস্তিত্ব মেলেনি এমনটি দাবি করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা রোগী এবং ট্রাভেলর মশার কারণে এ জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হতে পারে।’
পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু বলেন, ‘পৌরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আগামীকাল বুধবার র্যালি করা হবে। পরে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ময়লা আবর্জনা অপসারণসহ মশার জন্মস্থানগুলো ধ্বংস করা হবে।’
পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘ডেঙ্গুর শুরু থেকেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ করছে। মঙ্গলবার পর্যন্তও পাবনার কোথাও কোনো ডেঙ্গু বা এডিস মশার অস্তিত্ব পায়নি এই টিম।’
এদিকে, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবে পাবনাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসনসহ নানা দফতরের সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম হাতে নেয়ার কথা হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সমন্বিত কার্যক্রম চালু হয়নি। তবে বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করছে, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিহত করতে বৈঠক হয়েছে।