সাদুল্লাপুরে বর্ষায় পানি নেই মাঠে, সেচ দিয়ে চাষাবাদ

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-31 04:43:54

ঋতুর রাণী বর্ষার বিদায় ঘণ্টা বাজলেও গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দেখা নেই বৃষ্টির। মাঝে বৃষ্টির দেখা মিললেও ফসলের মাঠে জমে থাকা সেই পানি ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন চারা রোপণে শ্যালোমেশিন লাগিয়ে সেচ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা।

এবারের বন্যায় গাইবান্ধা জেলার সবকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। তবে উপজেলাগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর তুলনামূলকভাবে উঁচু এলাকা হওয়ায় বন্যার প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। তবে উপজেলার নিচু এলাকা পুরাণ লক্ষ্মীপুর ও জয়েনপুর গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। ফলে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানায়,বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়ে আমন চারা রোপণ করতে হয়। সে কারণে আমন মৌসুমে সেচের প্রয়োজন হয়না। এ সময় বৃষ্টির পানিতে ধানচাষ করা হয়। কিন্তু বর্ষার শেষদিকেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির।

এদিকে, বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে জানিয়ে কৃষক মুনছুর আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এমনিতে ধান উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়না। এবার অনাবৃষ্টির কারণে শ্যালোমেশিনে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

আরেক কৃষক জলিল উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এর আগের বৃষ্টির পানিতে ধানচারা রোপণ করেছিলাম। এরপর টানা খরায় জমির পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ধানচাষ করে চরম বিপদে পড়েছি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, চলতি আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। জমিতে বৃষ্টির পানি থাকলে অনেক আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর