ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দা, বটি, ছুরি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ভোলার কামাররা। শহর, শহরতলী এবং গ্রাম্য হাটের প্রতিটা কামারের দোকানে দা-বটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ক্রেতারা আসছেন এবং বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে সারা বছর বেচাবিক্রি কম থাকায় এ পেশা এখন বিলুপ্তির পথে। তাছাড়া পরিশ্রম অনুযায়ী লাভ না হওয়ায় অনেকেই কামারের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
ভোলা শহরের কালিনাথ বাজার এলাকার কামারপট্টির কেবু কর্মকার জানান, যাদের অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তারা এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। এক সময় ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার কামার পরিবার ছিল। কিন্তু এখন গোটা জেলায় পাঁচশো পরিবারও নেই। কোরবানির ঈদের বেচাবিক্রির মুনাফা দিয়ে তাদের পরবর্তী ছয় মাস চলতে হয়।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য নতুন দা-বটি কেনা এবং পুরান দা-বটি শান দিতে হয়। এজন্য বছরে একবার হলেও কামারের কাছে আসতেই হয় তাদের।
বিক্রেতা সাহেব আলী জানান, কোরবানিতে বিক্রির জন্য তারা তিন মাস আগ থেকেই দা, বটি, ছুরি ও রামদা বানিয়ে মজুদ করে রাখেন।