বগুড়ায় পানির অভাবে আমন ধানের চারা রোপণ করা জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। এ কারণে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। আবার একই জেলায় মাঠের পর মাঠ জমির ফসল এখনো পানির নিচে ডুবে আছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বগুড়া জেলার গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চারা রোপণ শুরু হয় এবং চলে ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এ পর্যন্ত শতকরা ৪৪ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে।
গাবতলী উপজেলার চক সেকেন্দার গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া জানান, ধানের চারা লাগানো জমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানির অভাবে বীজতলা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে শেষ পর্যন্ত জমিতে শ্যালো মেশিন চালু করেছেন।
একই উপজেলার নিশিন্দারা গ্রামের কৃষক সুবোধ চন্দ্র শীল জানান, দুই মাস হলো জমি থেকে ইরি ধান ঘরে তোলা হয়েছে। কিন্তু শ্রাবণ মাসের ১৯ দিন পার হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। তাই আমন ধানের চারা লাগানোর জন্য জমি তৈরি করতে পারেননি।
অপরদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলার আমতলী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তার ২৭ বিঘা জমিতে এখনো কোমর পানি। বাঙ্গালী নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। এলাকায় বীজতলা করার মতো কোনো শুকনা জমি নাই। তাই ১০ কিলোমিটার দূরে জমি ভাড়া নিয়ে বীজতলা করেছেন। কিন্তু সেখানে আবার পানির অভাবে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবারের বন্যায় ২ হাজার ৩৫৭ হেক্টর জমির বীজতলা এবং ১ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে লাগানো আমনের চারা নষ্ট হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারণেই কৃষকের জমি থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেও আমন চারা রোপণে দেরি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার (৭ আগস্ট) পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে।