লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মিল্কভিটার কর্মচারী মামুন হোসেন মাতাব্বরকে (২৬) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে মিল্কভিটার নিরাপত্তা প্রহরীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগঞ্জ আমলী আদালতে মামুনের বড় ভাই সুমন মাতাব্বর এ মামলা দায়ের করেন। এতে মিল্কভিটার নিরাপত্তা প্রহরী তাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিল্কভিটার রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী তাজুল ইসলাম স্থানীয় মাদকসেবীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন করতেন। কর্মচারী মামুন এতে প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সবশেষ গত ২৬ জুলাই রাত ১০টার পর থেকে মামুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন নিরাপত্তা প্রহরীর ডান পায়ে ৮টি সেলাই করা ক্ষত দেখা যায়।
এসময় মামুনের কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাজুল ও তার মাদকসেবী বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মামুনকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। পরে তারা লাশও গুম করে ফেলে। এদিকে ভাইকে ফিরে পেতে সুমন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তাজুলের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামুন রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল গ্রামের মাতাব্বর বাড়ির মৃত মহিন উদ্দিন মাতাব্বরের ছেলে। অভিযুক্ত তাজুল রামগঞ্জ পৌরসভার ওভিরামপুর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
মিল্কভিটা কেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রহরী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন কোথায় আছে আমার জানা নেই। ২৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে আমি অফিস ত্যাগ করার সময় মামুনকে তার কক্ষেই দেখেছি। আমার সাথে তার কোন বিরোধ নেই।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মামুনকে না পেয়ে ২৮ জুলাই মিল্কভিটার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফরহাদুল আলম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছি, এখনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশী তৎপরতা চলছে।’