বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় লেগুনা গাড়িতে যাতায়ত ভাড়া না দিতে পারায় রাতভর পালাবদল গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৫)।
এ ঘটনায় প্রথম ধর্ষক লেগুনার চালক রাজ্জাককে (৩৫) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশ দিয়েছে। ধর্ষিতাকে বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও আরেক লেগুনার চালকসহ দুই ধর্ষককে আটক করতে পারেনি স্থানীয় থানা পুলিশ।
রাজ্জাক বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে। আর ওই কিশোরী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাঁওখালী গ্রামের নৌকায় ভাসমান সবজি বিক্রেতা প্রতিবন্ধী আবদুল বারেকের মেয়ে।
পুরো ঘটনার বিবরণী দিয়ে ধর্ষিতা কিশোরী জানান, সে পয়সারহাটের খালা বাড়িতে দু’দিন বেড়ানো শেষে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট)সন্ধ্যায় ওই উপজেলার বিশারকান্দি থেকে লেগুনা গাড়িতে চড়ে। তার কাছে গাড়ি ভাড়া না থাকায় সে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডে চালক রাজ্জাককে মামা ডেকে তার কাছে ভাড়া না থাকার বিষয়টি তাকে জানায়।
রাজ্জাক বিনা ভাড়ায় তাকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়িতে তুলে গন্তব্যে না নামিয়ে পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন তার চাচাতো ভাই রশিদের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১০টার দিকে জনতা বাজার থেকে অপর লেগুনা গাড়ির চালক মাসুমের গাড়িতে তাকে তুলে দেয় রাজ্জাক।
বিশারকান্দি গ্রামের মাসুম ওই কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে না নামিয়ে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি কক্ষে নিয়ে অপর এক সহযোগী সহ রাতভর ধর্ষণ করে। ভোররাতে মাসুম গণধর্ষিতা ওই কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
ওই কিশোরীকে খেয়াঘাটে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার কাছ থেকে গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। বুধবার ভোরে ওই কিশোরীর প্রথম ধর্ষক রাজ্জাক ওই স্থান থেকে যাত্রী সহ গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করেন।
বিষয়টি তদন্তে কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক সুজিত কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি ধর্ষক রাজ্জাক ও ধর্ষিতা কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লেগুনা চালক রাজ্জাক ওই কিশোরীকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে বাকি অভিযুক্ত লেগুনা চালক মাসুমসহ অপর দুই জনকে গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।