সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতেও জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে বেচা-কেনা এখনো পুরোদমে শুরু হয়ান। পছন্দের পশুটি কিনতে ক্রেতারা ঘুরে বেরাচ্ছেন এক হাট থেকে অন্য হাটে। পটুয়াখালীতে এবার জেলা প্রশাসন মোট ১১০টি পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে।
পটুয়াখালীর পশুর হাটগুলোতে এখন ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। তবে মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি অধিকাংশ ক্রেতাদের নজর। আর বর্তমানে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় মিলছে মাঝারি সাইজের একেকটি গরু। এদিকে ভারতীয় কিংবা মিয়ানমারের গরু থেকে স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
পটুয়াখালী হেতালিয়া বাঁধঘাট সংলগ্ন পশু হাটের ক্রেতা হারুন অর রশিদ বলছিলেন, ‘এখনো সবাই গরুর দাম যাছাই বাছাই করছেন। তেমন একটা বেচা বিক্রি করতে দেখছি না। এখন কিনলে আরও তিন চার দিন পশু লালন পালন করতে হবে। এ কারণে আরও দুই তিন দিন পরে কেনাটাই ভালো।’
হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকলেও এখনো পুরোদমে বেচা বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানায় হাট কর্তৃপক্ষ। অনেকেই গরুর বাজার দর যাচাই বাছাই করছেন। আর শেষ সময়ে গরুর দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করছেন তারা। তবে গত বছরের থেকে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। আর বাজারে বিক্রি করতে আনা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অধিকাংশ হাটে পশু সম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে।
পটুয়াখলীর পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, পৌর এলাকায় প্রতিটি গরুর হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আশা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় এবার নিয়মিত হাটের পাশাপাশি কোরবানি উপলক্ষে ৫৬টি হাটে খণ্ডকালীন গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রি করা হচ্ছে।