কলা গাছের ভেলায় কাদামাটির মিশ্রণে ভাসমান পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে আমন ধানের বীজতলা। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকার কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করা হয়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামে বন্যা কবলিত এলাকায় বিগত বারের ন্যায় উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে বন্যার্ত এলাকার কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও কৃষকরা যেন বন্যার কারণে বীজতলা তৈরিতে কালক্ষেপণ না করেন সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে আমন ধানের ভাসমান বীজতলা। যাতে কৃষকরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারেন।
ভাসমান বীজতলা পদ্ধতিতে জমিতে চারা রোপণের উপযোগী হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন।
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী, মজিবর রহমান, আজিবর বলেন, ভাসমান বীজতলা তৈরির পদ্ধতি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। এতে করে আমরা শিখতে পারছি কিভাবে বন্যা চলাকালীন সময় নষ্ট না করে বীজতলা তৈরি করা যায়। আমরা পরবর্তী সময়ে বন্যা আক্রান্ত হলে এই পদ্ধতি অনুযায়ী বীজতলা তৈরি করে চাষাবাদ অব্যাহত রাখব।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিগতবারেও এই ভাসমান পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। এটা তৈরির উদ্দেশ্য হলো যাতে বন্যা চলাকালীন সময়ে কৃষকরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষ কার্য অব্যাহত রাখতে পারে।’