আসন্ন ঈদে বেনাপোল স্থলবন্দর সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় ৯ দিনের বন্ধের কবলে পড়তে যাচ্ছে। এতে বন্দর থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আগাম খালাস নিতে ব্যবসায়ীদের বেড়েছে কাজের ব্যস্ততা। রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে সরকারের। গত তিন দিনে প্রায় ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। খালাস হওয়া পণ্যের মধ্যে বেশি রয়েছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব জাতীয় পণ্য।
রাজস্ব আহরণকারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এবার ঈদে টানা বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে শোনা যাচ্ছে। ফলে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী আগাম পণ্য খালাস করছেন। গত তিন দিনে খালাস হওয়া আমদানি পণ্য থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।’
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির মজুমদার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দ্রুত পণ্য খালাস দিতে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে।’
ব্যবসায়ী মাহাবুব রহমান জানান, আর কদিন বাদে ঈদ। তাই এখন কাজের চাপ বেশি। এতে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা পণ্য খালাস হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, তারা এখনো পর্যন্ত সরকারি ছুটির কোনো নির্দেশনা পাননি। আমদানি পণ্যের সরবরাহ সচল রাখতে বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহে ছয় দিনে ২৪ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পণ্য খালাসকারী বন্দর শ্রমিক ও পরিবহনকারী ট্রাক শ্রমিকদের মাঝেও ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ঈদের আগে যেখানে তাদের সর্বোচ্চ একটা থেকে দুইটা চালান পরিবহনের কাজ পেত, এখন তারা তার চাইতে বেশি পাচ্ছেন। ভাড়াও মন্দ নয়। এতে তাদের চোখে-মুখেও খুশির ঝলক দেখা মেলে।