শিক্ষকদের বেকায়দায় ফেলতে তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জেলার সরাইল উপজেলার দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিজুর রহমান তার স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে সরাইল থানায় জিডি করেছেন। এ ঘটনায় তিনি বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার সরাইল উপজেলার দেওড়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ার মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেলায়েত খাঁ শিক্ষক ও কর্মচারী তথ্য বিবরণীতে শিক্ষক মনিজুর রহমান, শিক্ষিকা শিরীন আক্তার ও ফারহানা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, অ্যাডহক কমিটির নিয়োগের এখতিয়ার না থাকলেও আনোয়ার মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেলায়েত খাঁ এনটিআরসিতে শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের আবেদন করেন। পরবর্তীতে এনটিআরসি তিনজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকদের আবশ্যিক শিক্ষক দেখিয়ে মো. মনিজুর রহমান এবং ফারহানা বেগমকে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয় শিক্ষক এবং কর্মচারী তথ্য বিবরণীতে।
কিন্তু মনিজুর রহমান, শিরীন আক্তার ও ফারহানা বেগম ওই তথ্য বিবরণীতে স্বাক্ষর করেননি। পরে অ্যাডহকের সাবেক সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেরা তাদের স্বাক্ষর দিয়ে তথ্য বিবরণী পূরণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় শিক্ষক মনিজুর রহমান হাইকোর্টে রিট করলে আদালত এনটিআরসি’র সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও স্কিম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
এ ব্যাপারে দেওড়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুনিজুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ার মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেলায়েত খাঁ আমাদের স্বাক্ষর জাল করেছেন। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে থানায় জানিয়েছি।
দেওড়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ার মিয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেলায়েত খাঁর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেলায়েত খাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে মোবাইলে নয়, সরাসরি কথা বলবেন।