ঈদের বাকি আর মাত্র দুই দিন। শেষ সময়ে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের ঢল নেমেছে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে। ছোট-ছোট দুর্ঘটনা ও সরু-ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে ওই মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা।
মূলত সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু পশ্চিমপাড় মহাসড়কে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত এলাকায় যানবাহন বিভিন্ন মহাসড়কে ভাগ করে দিতে একটু সময় লাগছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
অপরদিকে মহাসড়কের নলকা ও অ্যারিস্টক্রেট হোটেলের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি সেতু রয়েছে। প্রতিটি গাড়িকে সেতুর উপর উঠে ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে।
এছাড়াও মহাসড়কের ছোট ছোট দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এক থেকে দুই মিনিট গাড়ি দাঁড়ালে দেখা যায় প্রায় এক-দুই কিলোমিটার এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি হয়ে গেছে। আর এ কারণে মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার আবদুল মালেক, শ্যামলী পরিবহনের আব্দুস সালাম, ট্রাকচালক আলী আশরাফসহ বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১০টায় ঢাকা থেকে গাড়ি ছেড়েছি। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে প্রচুর যানজট ছিল। তবে সেতু পার হওয়ার পর যানজট কিছুটা কম। তবে একেবারেই ধীরগতিতে চলছে গাড়ি।’
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ শহিদ আলম জানান, মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট দেখা দিলেও তা স্থায়ী হয়নি। ১০-১৫ মিনিট পর গাড়ি চলাচল করছে। গাড়ির অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে রাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে গেছে। তবে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনাগামী মহাসড়কে যানজট নেই। কিন্তু মাঝে মাঝে যানবাহন ধীর গতির মুখে পড়ছে। তবে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যানজন নিরসনের পাশাপাশি ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যেন কোনো ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।