শেষ সময়ে সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলছেন।
এদিকে হাটে পশুর দাম তুলনামূলক কম রয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে, শেষ সময়ে পশুগুলো আর ধরে রাখতে চান না। তাই সামান্য লাভ থাকলেই কোরবানির পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় অনুমোদিত কোরবানির পশু বিক্রির হাট রয়েছে ৬টি। জেলার বড় হাটগুলো ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় ছোট ছোট অস্থায়ী হাটগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়াও বাড়িতে গিয়ে কোরবানির পশু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় খুশি তারা।
বাইরের জেলা থেকে আসা গরুর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের গরুর মান ভালো এবং দামও তুলনামূলক কম। ফলে প্রতিবছর তারা এই জেলায় গরু কিনতে আসেন। মাঝারি সাইজের একটি গরু ৮০-৯০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে পছন্দের পশু কিনছেন।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবৈধভাবে যাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন চোরাকারবারি ভারত থেকে গরু আনার চেষ্টা করায় তাদেরকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার চারটি উপজেলায় কোরবানির জন্য ৩৭ হাজার গরু প্রস্তুত করা রয়েছে। এই জেলার খামারিরা ফিজিয়ান জাতের গরু পালন করেছে বেশি। পাশাপাশি এক লাখেরও বেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার শামিম হোসাইন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, আসন্ন কোরবানিতে জেলায় পর্যাপ্ত গরু-ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিনিয়ত হাটগুলোতে কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।