মূলধন সংকটে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ কারণে অনেকেই ছেড়েছেন এ পেশা। তবুও ঈদকে ঘিরে চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী।
চামড়া ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে নাটোরের মোকামে ও ঢাকার ট্যানারিতে সরবারাহ করে থাকেন। তারা বেশ কয়েকজন মিলেই এ ব্যবসা করে আসছেন। তাদের প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে ট্যানারি মালিকদের কাছে।
আরেক ব্যবসায়ীর মাসুদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ব্যাংক ঋণের কোনো প্রয়োজন নেই। ট্যানারি মালিকরা পাওনা টাকা পরিশোধ করলেই ব্যবসা চাঙা হবে। তিনি বলেন, এটিই আমাদের জাত ব্যবসা। যতই সংকট হোক তারপরও ব্যবসাটা করতেই হবে।’
এদিকে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজি নিয়ে ঈদের সময় চামড়া কিনে আড়তে সরবারাহ করেন। তাদের প্রতি চামড়া ব্যবসায়ীদের পরামর্শ- তারা যেন নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনেন। তাহলে বাজার ঠিক থাকবে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ভারতে চামড়া পাচার হয়ে যাবে এমন কথা প্রতিবছরই বলা হয়। কিন্তু দেশেই চামড়া দিয়ে আমরা শেষ করতে পারি না। কেন ভারতে যাবে, আর ভারতে চামড়া পাঠানো লাভজনকও নয়।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনজুর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আগে ছোটবড় মিলিয়ে ৫০ জন ব্যবসা করলেও এখন চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত আছে ২০ জন। জেলার সব চামড়া ব্যবসায়ীর অন্তত ১০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। এ টাকাগুলো পেলে চামড়া কিনতে সহজ হতো। তারপরও ঈদকে ঘিরে আমরা যে যার মত প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে চামড়া ব্যবসায়ীদের একটু সহযোগিতা করলে আরও ভালো থাকতে পারবে ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের কোনো আশঙ্কা নেই।’