বেনাপোল (যশোর): ঈদ ছুটিতে চিকিৎসা, বেড়ানোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকা থেকে কলকাতাগামী বাসের সহস্রাধিকেরও বেশি যাত্রীরা ভারত যেতে না পেরে বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আটকা পড়েছেন। আবার কেউ রুম না পেয়ে বাস কাউন্টারে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে রাত কাটাচ্ছেন। ফেরী ঘাটে ভোগান্তির কারণে ৬ ঘণ্টার যাত্রা দীর্ঘ ২৫ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাত ০৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব কলকাতাগামী বাসগুলো যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও বহু দূর পাল্লার বাস যাত্রী নিয়ে রাস্তায় রয়েছে।
বিআরটিসি বাসের যাত্রী ভারতীয় নাগরীক সাব্বির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, তিনি ঢাকা থেকে শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় বাসে ওঠেন। ১৯ ঘণ্টা দেরীতে বাসটি বেনাপোল পৌঁছায়। তাদের সাথে অনান্য অনেকগুলো বাস ছিল। এসব বাস শনিবার (১০ আগস্ট) ভোর ৬টার মধ্যে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ফেরী ঘাটে যানজটে তারা আটকে পড়েন। সড়ক পথে এই দূর্ভোগের কারনে এদিন তারা আর ভারতে ঢুকতে পারেনি।
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী মিনা বেগম জানান, তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। লম্বা ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার পথে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু বাস দেরীতে পৌঁছানোর কারনে চেকপোস্ট পার হতে পারেননি। উপায়ন্তর না পেয়ে বেনাপোলের আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে তাকে চেকপোস্ট পার হতে হবে।
রয়েল পরিবহনের আটকে পড়া যাত্রী অভিজিত সুর জানান, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে ভারতে যাবেন। আটকা পড়ে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। রাতে থাকার জন্য আবাসিক হোটেলগুলোতেও কোন সিট খালি নেই। তার মত অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস কাউন্টারে রাতভর জেগে সময় পার করছেন।দেরীর কারনে তিনি ডাক্তারের সিরিয়ালও মিস করেছেন।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোরকে জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রীরা এপারে আটকে পড়েছেন জানতে পেরেছেন। তারা রোববার সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে পারাপারের জন্য তাদের যথেষ্ট জনবল রয়েছে বলেও জানান তিনি।