রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মস্থান ত্যাগ করেছেন মানুষজন। বেশিরভাগ মানুষই ঘরে ফিরেছেন। এখনো অনেকেই ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। এতে পরিবহনের চাপ এখনো কিছুটা রয়েছে। লোকাল যাত্রীদের সেই উপচে পড়া ভিড় এখন আর তেমন একটা নেই।
কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিতে ঘরে ফিরছেন তারা। কোনোরকম হয়রানি বা ঝামেলা ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে মহা খুশি এই নৌ-রুটের যাত্রীরা। ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরতে পেরে তারা সরকার ও ঘাট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, যাত্রীর তেমন একটা চাপ নেই। আর যারা পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ পার হয়ে এসেছেন তারা বাস টার্মিনালে বিভিন্ন রুটের সারিবদ্ধ হয়ে থাকা বাসে করে ঘরে ফিরছে। ঘাট এলাকায় এসে কোনো ধরনের ভোগান্তিতেই তাদের পড়তে হচ্ছে না। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসিন্দা আলফাজ রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এতো তাড়াতাড়ি নদী পার হতে পারব তা ভাবিনি। সকাল ৭টায় গাবতলী থেকে অগ্রদূত বাসে যাত্রা শুরু করেছি। পাটুরিয়া আসতে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। নদী পার হয়ে এখন দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়াগামী বাসে উঠব। স্বাভাবিক দিনের থেকে এবার মাত্র ঘণ্টাখানেক সময় বেশি লেগেছে। এটা কোনো বিষয় না।'
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার ঘাট এলাকা পুরো সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল। তাছাড়া এবার ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ কোনো টিকিট কাউন্টার বসতে দেইনি। চেষ্টা করেছি ঘাটকে দালালমুক্ত করতে। জানি না ঈদে ঘরমুখো মানুষের এতে কতটুকু উপকার হয়েছে।'
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ২০টি করে ফেরি চলাচল করেছে। তবে নদীতে স্রোতের কিছুটা বেগ থাকায় ফেরিগুলোর চলতে একটু সময় বেশি লেগেছে। যার কারণে ঘাটে এসে যানবাহনগুলোকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে এতে যাত্রী ও চালকদের তেমন একটা অভিযোগ নেই।'