নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, 'আমরা তৃতীয়বারের মতো দেশের সবচেয়ে আধুনিক ফ্যাসিলিটিজ সমৃদ্ধ ঈদ জামাতের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি আয়োজন করার তৌফিক দিয়েছেন, তাই আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। এবারের জামাত গতবারের চাইতেও বড় হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করেছি, এখানে মক্কা মদিনার আবহ তৈরি করতে। এখানে চতুর্দিকে কোরআন হাদিসের বানী রাখা হয়েছে। এটি সফল করতে শ্রমিক ভাইয়েরা সহ স্থানীয় অনেকেই সহযোগিতা করছেন, সদকায়ে জারিয়ার আশায়। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, এটি সম্ভব না কিন্তু সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সেটি সম্ভব হয়েছে।'
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে ইসদাইর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ঈদ জামাতের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করেছিলাম, দুইটি ঈদ জামাতের জন্য দেড় দুই কোটি টাকা বাজেট রাখতে। ঢাকাতেও একইভাবে বাজেট রাখা হয়। আসলে আল্লাহর প্রতি প্রেম থাকলেই এটি সম্ভব। আমি আবারো অনুরোধ জানাই, সিটি করপোরেশন থেকে আগামীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একটি বরাদ্দ রাখতে। আমার খুব কষ্ট লাগে এইখানে ৮টায় জামাত হবে শুনে পাশের মসজিদে সাড়ে ৭টায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব নিয়েও রাজনীতি করলে তাহলে আমরা কীভাবে মাফ পাব?'
ডেঙ্গু ইস্যুর প্রসঙ্গে বলেন, 'এই যে মশার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, এটি এমনি এমনি হচ্ছে না। অনেকেই বলছেন এটি শামীম ওসমানের ঈদ জামাত, আস্তাগফিরুল্লাহ এটি আমার জামাত না। এটা আমাদের সবার মিলে একটি যৌথ প্রচেষ্টা। আমি আগামীকাল না থাকলে আমাদের নেক্সট জেনারেশন এটি কন্টিনিউ করবেন।'
তিনি কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, 'আমার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট, আর তিনি ছাড়া মাবুদ নেই। আমরা তার উপরই ভরসা করি। আমরা ঈদের ত্যাগের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেব। আমরা আশা করছি ঈদের জামাত আরও বড় হবে। আমরা আগামীতে নারীদের নামাজের জন্যেও জায়গা রাখব এবং সেটি কোথায় হবে সেটি নিয়ে আলোচনা করব আলেমদের সঙ্গে। মক্কা মদিনা, বায়তুল মোকাররমে যদি মহিলারা নামাজ পড়তে পারে তাহলে এখানেও সেটি সম্ভব করব।'