শাহীন মিয়া, বাড়ি গাইবান্ধা শহরে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে স্ত্রী জমিলাকে নিয়ে বগুড়া শহরে আসেন মাংস সংগ্রহ করতে। শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা মাংস সন্ধ্যায় বিক্রি করে রাতের ট্রেনে ফিরে যান বাড়িতে।
এবারো তারা সংগ্রহ করেছেন প্রায় ১২ কেজি মাংস। বিক্রি করেছেন ৫ হাজার টাকায়। এটা তাদের ঈদ উপলক্ষে বাড়তি আয়।
শাহীন ও জমিলার মতো কয়েক হাজার নারী পুরুষ ও শিশু ঈদের দিন দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যান বগুড়া শহরে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যাগ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করেন। আর এসব সংগ্রহ করা মাংস বিক্রির জন্য অস্থায়ী বাজার বসে শহরের সাতমাথা, রেলস্টেশন, কলোনি বাজার ছাড়াও রেললাইনের বিভিন্নস্থানে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে শহরের সাতমাথায় মাংস কিনতে এসেছেন শাজাহানপুরের শাকপালা এলাকার মুদি দোকানি বাবুল মিয়া। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি জানান, আগামী শুক্রবার তার ছেলের বিয়ে। কম দামে মাংস পাওয়া যায় ভেবে এখানে এসেছেন। কিন্তু দোকানের মতো এখানেও মাংসের কেজি চাওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কনস্টেবল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবার কোরবানি দিতে পারেননি। ছুটিতেও গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। তিনি ৪২০ টাকা দরে ১০ কেজি মাংস কিনেছেন।
এসব মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন হোটেল মালিক এবং ফুটপাতে কাবাব বিক্রেতারা এখান থেকে মাংস কিনে নিয়ে গিয়ে মজুদ করে রাখেন।
অস্থায়ী মাংস বিক্রির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই ঘণ্টার এই বাজারে মাংস মেপে দেয়ার জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসেছেন কয়েকজন। তারা ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাগসহ মাংস মেপে দিচ্ছেন।