মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের (ফড়িয়া) এবার মাথায় হাত পড়েছে। সতর্কতার সঙ্গে কম দামে চামড়া কিনেও শহরে বিক্রি করতে এসে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ লাভের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চামড়া নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা নেই। এর মধ্যে সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টিতে আরও ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে শহরের চামড়া কেনা বেচার এলাকাগুলো।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে শহরের চেলোপাড়া, থানামোড়, বাদুড়তলা, কাঁঠাল তলা,কলোনি এলাকা ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
বগুড়া সদরের জিগাতলা এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, গ্রাম ঘুরে ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কিনেছে ১০০ পিচ। তার গড়ে প্রতি পিচ চামড়া ২০ টাকা কেনা পড়েছে। শহরে বিক্রি করতে এনে ক্রেতার অভাবে বসে ছিলেন রাত ৮টা পর্যন্ত। এরমধ্যে সন্ধ্যায় আধা ঘণ্টা বৃষ্টির পর চামড়ার বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে রাত ৮টার পর ১০০ চামড়া ১০ টাকা পিচ দরে বিক্রি করে দেন।
তিনি বলেন, 'সারাদিন পরিশ্রম করে ১০০ চামড়া বিক্রি করে লাভতো দূরের কথা আরও ১০০০ টাকা লোকসান। গরুর চামড়া বিক্রি করতে লোকসান না হলেও ক্রেতার অভাবে বসে আছেন রাত ৯টা পর্যন্ত।'
বগুড়া সদরের চকঝুপু গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী রিপন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, তিনি ফড়িয়াদের কাছ থেকে ছাগল ও ভেড়ার চামড়া গড়ে ২০ টাকা এবং গরুর চামড়া ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনেছেন। তিনি শহরের আড়তে চামড়া বিক্রি না করে নিয়ে যাবেন বাড়িতে। সেখানে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে দাম বাড়লে আড়তে বিক্রি করবেন।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, বগুড়া জেলায় এবার দুই লক্ষাধিক গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। এরপরেও পাশের জেলা জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা থেকেও চামড়া বিক্রির জন্য বগুড়ায় আসে। ঈদের তিনদিন পর্যন্ত এসব চামড়া বগুড়ার আড়ৎগুলোতে আসবে।
তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চামড়ার বাজার ধ্বস নামতে শুরু করেছে। ট্যানারি মালিকদের বকেয়া টাকা আটকে দেওয়ার কারণে বগুড়ার ব্যবসায়ীরা ও চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।