আড়তদার বিক্রি করলেই চামড়ার টাকা পাবে মাদরাসা-এতিমখানা

পটুয়াখালী, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী | 2023-08-13 13:51:37

সারা দেশের মতো পটুয়াখালীর বাজারেও কোরবানির পশুর চামড়ার তেমন কদর নেই। বিগত বছরগুলোতে কিছু বেচা বিক্রি হলেও এবার একেবারেই পানির দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ফেলেও দিচ্ছেন। আর যারা বিক্রি করছেন তার দাম এক থেকে দেড়শ টাকার বেশি নয়। এ কারণে অনেকে বাকি টাকায় চামড়া বিক্রি করছেন। আড়ৎ মালিকরা বলছেন, চামড়া বিক্রি করতে পারলেই তারা চামড়ার দাম পরিশোধ করবেন।

বেশ কয়েক বছর আগেও কোরবানির পর পরই বিভিন্ন এলাকায় পশুর চামড়া কিনতে বিভিন্ন গ্রুপের লোকজন দাম দর করত। সে সময়ে অড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কিংবা এর বেশি দামেও গরুর চামড়া বিক্রি হতো। আর ছাগলের চামড়া আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায় বেচা বিক্রি হতো। চামড়া কিনতে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনানগোনাও ছিল। তবে সে সব এখন কেবলই স্মৃতি। এখন দাম দরতো দূরের কথা কেউ চামড়া কিনেতেও আসছেন না।

যেহেতু কোরবানি পশুর চামড়ার টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। সেজন্য অনেকে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদরাসায় চামড়া দান করছেন। আর এক্ষেত্রে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এসব চামড়া বিভিন্ন আড়তে বাকি টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আর আড়ৎ মালিকরা বলছেন, 'কবে দামে চামড়া বিক্রি করতে পারব, কবে নাগাদ ট্যানারি মালিকরা টাকা দেবে, তার ওপর নির্ভর করে চামড়ার মূল্য পরিশোধ করব। বিগত বছর যে চামড়া বিক্রি করছি সেই মূল্যই এখনো পাওয়া যায়নি।'

তবে চামড়ার বাজার এতটাই খারাপ যে, রিকশা ভাড়া দিয়ে বাসা বাড়ি থেকে চামড়া আড়তে পৌঁছে দিতে যে টাকা লাগছে সেই টাকাও পাওয়া যায় না। ফলে এখন এমন পরিস্থিতি যে এক সময়কার মূল্যবান চামড়া এখন কোরবানি পশুর বর্জ্য হিসেবে হয়তো ফেলে দিতে হবে।

তবে মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বলছেন, 'এক সময়ে কোরবানির চামড়া দিয়ে মাদরাসা এতিমখানাগুলো একটি তহবিল সংগ্রহ করতে পারলেও এখন আর সেটি হচ্ছে না। চামড়ার মূল্য এভাবে কমে যাওয়ায় অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো সরাসরি বঞ্চিত হচ্ছেন।' এ কারণে কোরবানির চামড়ার দাম নির্ধারণ ও সেই মূল্য মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর