নরসিংদীর শিবপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে রুপন মিয়া (৩৫) ও শিবপুর শহীদ আসাদ কলিজিয়েট গার্লস হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদের মেয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লামিয়া আক্তার (১৮)।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় নরসিংদী-মনোহরদী সড়কের শিবপুর উপজেলার পঁচারবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনোহরদী থেকে শিবপুরগামী একটি সিএনজি শিবপুরের পঁচারবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রয়েল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়্।
এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই যাত্রী রুপন মিয়া মারা যান এবং চারজন যাত্রী আহত হন। আহতদের শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান লামিয়া আক্তার।
আহতদের মধ্যে রহিম (৩৮) ও সিএনজিচালক মজিবুর রহমান (২৬) নামে দুইজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং অপরজন নিহত লামিয়ার মা শিবপুর উপজেলার খালপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক আসমাউল হুসনাকে (৪২) গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতের সংবাদ পেয়ে শিবপুর কলেজ গেইটস্থ রয়েল পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। ঘাতক বাসটিকে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ আটক করেছে, ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।