ঢাকায় ঈদ করে স্বামী সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি রংপুরে যাচ্ছিলেন ঢাকার আইডিয়াল প্রিপারেটোরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা রানু বেগম। তাদের বাড়ি রংপুর শহরের কামাল কাছনায়। রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে যাচ্ছিলেন তারা। তবে আর যাওয়া হলো কই?
বুধবার (১৪ আগস্ট) বগুড়ার শাজাহানপুরে বিপরীতমুখী আহাদ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় শ্যামলী পরিবহনের। এতে বাসের মধ্যেই মারা যান রানু বেগম ও তার স্বামী খায়রুল ইসলাম। পাশের সিটে বসে থাকা তাদের ছেলে মিরাজ (২২) ও মেয়ে জান্নাতি (১১) গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা মা বেঁচে নেই।
এই দুর্ঘটনায় সর্বমোট তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত আরেকজন শ্যামলী পরিবহনের চালক। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চালকের আসন কেটে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবর আলী ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ মন্ডল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত এক যাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকেই শ্যামলী পরিবহনের বাসটির চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হলে যাত্রীরা বেশ কয়েকজন চালককে দুর্ঘটনার বিষয়টি স্মরণ করে দিলে তিনি যাত্রীদেরকে জানান, বাসটি রংপুর পৌঁছানোর পর আবারো যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। পুলিশেরও ধারণা বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি হয়েছে।