দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া প্রান্তে পদ্মা নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যায় প্রায় চার শতাধিক। বাকি যানবাহনগুলোর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। তবে ঘাটে এখন পর্যন্ত ছোট গাড়ির কোনো চাপ নেই। টিকিট নিয়েই সরাসরি ফেরিতে উঠছে ছোট গাড়িগুলো।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ছিল একেবারেই ফাঁকা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহাসড়কে দীর্ঘ হয় যানবাহনের সারি।
ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষের ছুটি শেষ হওয়ায় দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজারের কাছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
এদিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পার করার জন্য গোয়ালন্দ মোড় থেকেই পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গোয়ালন্দ মোড়েও প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক সাব্বির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘কিছু গমের ভুসি নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। কিন্তু এখানে আসার পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আটকে দিয়েছে। ঘাটে অপেক্ষাকৃত বাস নদী পার হওয়ার পর নাকি আমাদের ছাড়বে।’
দৌলদিয়া ঘাট ট্রাফিক পুলিশের ইন্সেপেক্টর আবুল বাশার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পারের সুযোগ দিচ্ছি। যারা আগে ঘাট এলাকায় এসেছে তাদেরকে আমরা সিরিয়াল অনুযায়ি নদী পার করছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় এবং আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ঘাটে যানবাহনের বাড়তি চাপ বেড়েছে। তবে যানবাহন পার করার জন্য দৌলদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।’