এখনো যাত্রীবাহী বাসের চাপ কমেনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। সারা রাত মহাসড়কেই ফেরির জন্য নির্ঘুম রাত কেটেছে যাত্রী ও চালকদের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নারী ও শিশুরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করেছে প্রায় তিন শতাধিক যাত্রীবাহী বাস।
ঈগল পরিবহনের যাত্রী রোকনুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে পরিবারসহ বের হই। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি প্রচুর বাস নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে। সারা রাত আমাদের রাস্তাতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরিতে উঠব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী যাত্রী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঘাটের ব্যবস্থাপনা খুবই বাজে। ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত টয়লেট ও পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। যার কারণে নারী ও শিশুদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাগ্য ভালো এখানকার পুলিশ সারা রাত আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।’
দৌলতদিয়া ঘাট ট্রাফিক পুলিশের ইন্সেপেক্টর আবুল বাসার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঘাটে আগত যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের নৈতিক কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করছি নিয়মের মধ্যে থেকে বাসগুলোকে পার করতে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘গত শুক্রবার দুপুর থেকে ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেড়েছে। এ সকল যানবাহনগুলোকে নদী পার করার জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।’