বরগুনা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই ছাড়ছে লঞ্চ

বরগুনা, দেশের খবর

খাইরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা | 2023-08-26 19:30:52

ঈদের ৬ষ্ঠ দিনেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকায় ফিরছে লঞ্চগুলো। তবে এসব লঞ্চে নেই পযার্প্ত জীবন রক্ষার সরঞ্জাম। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা ৩টায় বরগুনা লঞ্চ টার্মিনালে তিনটি লঞ্চ ঘুরে দেখা গেছে- সামনে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের তালিকা সাটানো থাকলেও ভেতরে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে লঞ্চের এক পাশে কিছু নষ্ট সরঞ্জামের দেখা মেলে।

জানা গেছে, ঢাকাগামী এমভি শাহ্রুখ-১ লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা ৩৩৭ জন। কিন্তু রোববার বিকেলে কয়েকগুণ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চের গেটের সামনে সাটানো তালিকায় দেখা যায়- বয়া ১৪৮টি কিন্তু ভেতরে পাওয়া যায় মাত্র ৭১টি, ফয়ার বকেট ১৮টি কিন্তু পাওয়া যায় ১৬টি, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ১৪টি কিন্তু পাওয়া যায় ১০টি।

আরও পড়ুন: লঞ্চে সিট বাণিজ্য, গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা

এছাড়া তালিকায় উল্লেখ ছিল- বয়ন্ট দুটি, হস্তচালিত পানির পাম্প একটি, বালুর বাক্স দুইটি, কম্পাস ১টি, ফাস্ট এইড বক্স একটি।

এমভি শাহ্রুখের সুপারভাইজার জানান, গত ১৬ আগস্ট বরগুনা থেকে এক হাজার ৭২৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঈদের সময় যাত্রীর চাপ থাকে, তাই না নিয়ে উপায় থাকে না।

যাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সবই আছে, কিছু সংখ্যক বয়া কম আছে। এরপর থেকে সেগুলো পূরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: ভূমি ক্ষয়ে হুমকিতে 'শুভ সন্ধ্যা' সৈকত

এদিকে পূবালী-১ এর ধারণ ক্ষমতা ৩২৩ জন। কিন্তু রোববার বিকেলে কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এটাতেও তালিকা অনুযায়ী জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।

পূবালী-১ এর মাস্টার শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘তালিকা অনুযায়ী ভেতরে সব সরঞ্জাম আছে। তবে কিছু যন্ত্রপাতি সংস্কার করা হচ্ছে। আর ঈদের সময় চাপ থাকায় কিছু যাত্রী বেশি থাকে।’

মফিজ উদ্দিন, শামিমা, রাসেল নামের একাধিক যাত্রী জানান, এমভি শাহ্রুখ-১ লঞ্চে তিল ধারণের জায়গা নেই। যত সংখ্যা যাত্রী আছে তত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।

নৌ কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিপোর.কমকে বলেন, ‘লঞ্চে প্রয়োজন অনুযায়ী জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকা জরুরি। আগামীকাল থেকে প্রতিটি লঞ্চ চেক করে পাঠানো হবে। তবে ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠে লঞ্চগুলোতে।’

বরগুনা লঞ্চ ঘাটে দ্বায়িত্ব থাকা নিবার্হী মেজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ ছাড়ছে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্যান্য ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী উঠে থাকতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই মাস আগে বরগুনা রুটের সব লঞ্চের সরঞ্জাম চেক করা হয়। কিন্তু এমভি শাহ্রুখ-১ লঞ্চটি এই রুটে নতুন আসায় চেক করা সম্ভব হয়নি। এরপর লঞ্চটি বরগুনা ঘাটে আসলে চেক করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর