ফেনী থেকে: ফেনীর সোনাগাজীতে অপরিকল্পিতভাবে খাল খনন করায় আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক ধসে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছর এবং চলতি বছরে প্রায় ৩৫৭ কিলোমিটার খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার না করে জেলা সমন্বয় সভায় একে অপরকে দোষারোপ করেছেন পাউবো ও এলজিইডির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমিরাবাদ ইউনিয়নে খননকালে খাল সংলগ্ন প্রতিটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
খননকাজে ক্ষতিগ্রস্ত সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, যন্ত্র দিয়ে খাল খননের কারণে আমার ও এলাকার অনেকের বাড়ি গ্রতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কাশেম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গত দুই বছরে উপজেলায় খাল খননকালে এলজিইডির ১৫টি পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কসকা-নবাবপুর সড়ক, মিয়ারবাজার-আমিন উদ্দিন মুন্সি সড়ক ও মানু মিয়ার বাজার সড়ক। টানা বর্ষণে আরও কয়েকটি সড়ক ধসে যেতে পারে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, কোনও প্রকার পরিকল্পনা ছাড়াই ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করায় সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাউবো ফেনী দফতরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন্নবী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সোনাগাজীতে পাউবোর নিজস্ব ৫৯৮ কিলোমিটার খাল রয়েছে। মুহুরি সেচ প্রকল্পের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে ওই খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গত দুই বছরে প্রায় ৩৫৭ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। খালের দুই পাড় পাউবোর নিজস্ব জায়গা। অধিকাংশ জায়গায় খালের পাড় দখল করে এলজিইডি সড়ক নির্মাণ করেছে। খননকালে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও জনস্বার্থে সড়কগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেগুলো সংস্কারের দায়িত্ব এলজিইডির।