ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে নিখোঁজের ৮ দিন পর মঙ্গলবার রাতে মোশারফ হোসেন সজিব নামের এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় স্থানীয় পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মানিককে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, সজিবকে মেরে লাশ গুম করতে পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে খামার মালিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে বন্ধু সজীবের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় মোশারফ হোসেন সজিব। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে পুলিশ, পিবিআই ও র্যাব কার্যালয়ে অবহিত করা হয়।
একপর্যায়ে পিবিআই ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে নিখোঁজ সজিবের সহপাঠী সজীবকে আটক করে কার্যালয়ে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তারা দুজনই ঈদের দিন রাতে মুরগি চুরি করতে স্থানীয় একটি পোল্ট্রি খামারে যায়। সেখানে খামার মালিক টের পেয়ে এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। এরপর সজিবের কী হয়েছে সে জানে না। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পিবিআই খামার মালিককে আটক করে নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে খামার মালিক জানিয়েছে, পালাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সজিব মারা যায়। মামলার ভয়ে তাকে খামারের পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিবিআই সদস্যরা মাটির নিচ থেকে সজিবের লাশ উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ফেনী পিবিআই কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। নিহত সজিব ওই এলাকার কাতার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ফেনী শহরের হলি ক্রিসেন্ট ইনস্টিটিউটের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে সজিব দ্বিতীয়। ছেলের লাশের সন্ধানের খবর পেয়ে বাবা দেলোয়ার হোসেন দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। লাশ উদ্ধারের সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।