পটুয়াখালীতে ডাক্তারের অবহেলায় ফারদিন খান অভি নামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের সহপাঠী ও স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত অভি পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের মা মমতাজ বেগম জানায়, সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিকে অচেতন অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে বিষপান করেছে বলে জানানো হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার আনোয়ারর উল্যাহ শুধুমাত্র অভির প্রেশার মেপে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অভির সঙ্গে থাকা স্বজনরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে অনুরোধ করেন। ডাক্তার তাতে রাজি না হয়ে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন।
এরপর রাত ৮টার দিকে ওয়ার্ডে ডাক্তার মাজহারুল ইসলাম (প্রশিক্ষণরত) আসলে অভির স্বজনরা তাকে দেখার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু এটা মাজহারুল ইসলামের দায়িত্ব নয়, এখন তার ক্লাস চলছে বলে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে যান। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স অভির হৃদস্পন্দন না পেয়ে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার তারেক হাসানকে নিয়ে আসেন। এ সময় ডাক্তার তারেক হাসান জানান, অভির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে অভির মৃত্যু হয়েছে, এমন খবর শুনে হাসপাতালে উপস্থিত সহপাঠীরা হাসপাতালের দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান এবং মো. জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।