গত ১ সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২০৫ জন রোগী। রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ার ফলে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও বাড়তি রোগীদের চাপ সামলাতে ডাক্তার ও নার্সদের পড়তে হচ্ছে নানান সমস্যায়।
এদিকে হাসপাতালে বাড়তি ডায়রিয়া রোগীর চাপে দেখা দিয়েছে স্যালাইনের সংকট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্যালাইনের সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট করে না বললেও রোগীর স্বজনদের হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনতে দেখা গেছে।
সদর হাসপাতালের সূত্র হতে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ আগে থেকে হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হতে দেখা যায়। তবে গত চারদিনে অতিমাত্রায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে।
গত ১ সপ্তাহ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫০ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের ফাঁকা জায়গায় কোনোরকম একটু বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। নামে মাত্র ১০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৫০ শয্যার লোকবল দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। যার ফলে সীমিত ডাক্তার নার্স দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া এক শিশুর মা জানালেন, তার মেয়ে তিন দিন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর যেই ডাক্তার ছুটি দেবেন সেই ডাক্তার নিজেও ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘হাসপাতালে তাদের রোগীকে ভর্তি করতে এসে বেড তো দুরের কথা মেঝেতে একটু জায়গা পেতে দালালকে ধরতে হচ্ছে।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শামীম কবীর বলেন, ‘স্যালাইন সংকট এখন আর নেই হাসপাতালে। খুলনা থেকে এরই ভেতর স্যালাইন নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ডাক্তার সংকট হাসপাতালে বরাবরই রয়েছে। স্বল্প ডাক্তার দিয়েই চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হাসপাতালে যে হারে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এতে সাধারণ মানুষের ভীতি হবার কোনও কারণ নেই। ভ্যাপসা গরম আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষের মাঝে জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।’