কুমিল্লার লালমাইয়ে বাস চাপায় সিএনজি অটোরিকশার ৮ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ঘাতক বাস চালক রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রাসেলকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেফতার করেন লালামাই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা।
মঙ্গলবার বিকেলে এসআই গোলাম মোস্তফা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রোববার কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকার জামতলীতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে তিশা পরিবহনের একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো তিনজন মারা যায়। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ছয় সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৭
নিহতরা হলেন, জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির ঘোড়াময়দান গ্রামের মৃত আব্দুর জাব্বারের ছেলে জসিম উদ্দিন, জসিমের স্ত্রী সেলিনা আক্তার, মা সকিনা বেগম, ছেলে শিপন, হৃদয়, মেয়ে নিপু আক্তার, জসিমের হোটেলের কর্মচারী একই গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে সাইমন এবং ওই ইউনিয়নের করপাতি গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক জামাল হোসেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন শেষে পরিবার নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে কুমিল্লা নগরীর ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন জসিম উদ্দিন।
তিনি কুমিল্লা নগরীতে হোটেল ব্যবসা করতেন। তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি জামতলী এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে লাকসামগামী তিশা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো ব- ১৪-৭১৩৬) সিএনজিটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়।
ওই ঘটনায় একমাত্র জীবিত হলেন জসিমের ৮ বছর বয়সী শিশু সন্তান হৃদয়। সে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন।