দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে হলুদ ক্ষেত

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-27 13:04:27

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় হলুদ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা। এ অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে হলুদের আবাদ। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহে নজর কাড়ছে হলুদ ক্ষেত। কৃষকেরা এখন হলুদ চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট, ইদিলপুর ও ভাতগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা হলুদ চাষ করে আসছেন। মসলা ফসলের মধ্যে হলুদ একটি নিত্যপণ্য দ্রব্য। রান্না কাজ ছাড়াও অনেক ধরণের প্রসাধনী কাজে ও রঙ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে হলুদ ব্যবহৃত হয়। যার ফলশ্রুতিতে হলুদের চাহিদা অনেক বেশি। উচ্চ ফলনশীল জাত এবং উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে হলুদের ফলন দ্বিগুণেরও বেশি করা সম্ভব। মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা হলুদের উচ্চ ফলনশীল জাত এবং চাষাবাদের উন্নত পদ্ধতি বের করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

হলুদ চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষক আজিজুর রহমান জানান, সব ধরণের মাটিতে হলুদ চাষ করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে উন্নত জাতের ডিমলা ও সুন্দরী হলুদ চাষ করা হলেও দেশীয় জাতের হলুদ বেশি চাষ করা হয়। সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হলুদ রোপণ করা হয়। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে হলুদ তোলা হয়। ৬ মাসের এ মশলা জাতীয় ফসলের সর্বোচ্চ প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) খরচ হয় প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা। ফসল উৎপাদন হয় প্রায় ৫০ মণ। বাজারে দাম ভাল থাকলে প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, হলুদে   বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। হলুদ প্রোটিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক জাতীয় উপাদান সমৃদ্ধ। যার ব্যবহারে আমাদের শরীর নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন,  চলতি  মৌসুমে ২৩৫ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এবারে বেশি। যাতে করে কৃষকরা ভাল ফসল পায়, সে বিষয়ে কৃষকদের নানাভাবে   সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর