ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ ১১ মাস থাকার পরও নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদসম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক-১ আবু নাছের আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কহাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার একক সিদ্ধান্তে এটা করা হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়া শোকের মাসে কারো সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই গত ২৫ আগস্ট কার্যকরি কমিটির সভা ডাকেন। সভায় উপজেলার সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতারা সভা বয়কট করেন। ইউনিয়নের প্রতিটি কমিটির মেয়াদ আরো ১১ মাস থাকার পরও সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া অগণতান্ত্রিক ও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
তিনি আরো জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়াদায়ী থাকবেন। তবে তাকে প্রতিহত করা হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হানিফ মুন্সির বিরোধীতা করেন ছফিউল্লাহ মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনিআওয়ামী লীগ মনোনীত বিভিন্ন প্রার্থীর বিরোধিতা করেন। এছাড়াও গত জাতীয় নির্বাচনে ছফিউল্লাহ মিয়া প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষেভোট চান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী মো. ফিরোজ মিয়া, আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম মিয়া, তারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিসহাসান, শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফ উদ্দিন চৌধুরী, দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু,সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন, চরচারতলা ইউনিয়নের সভাপতি আইয়ুব খান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি শাহীন শিকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ আহমেদ রনিসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।