সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় ফুলজোড় নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন এবং রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন ছয় গ্রামবাসী।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরের দিকে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাবার বুলেটে বিদ্ধরা হলেন- আলোকদিয়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩২), সোনাউল্লার ছেলে সাখওয়াত (৪০), সূর্য্য শেখের ছেলে ফনি (২৫), নুরুল ইসলামের ইউনুস আলী (১৮), শুকুর আলীর মেয়ে শান্তি খাতুন (৩৫) ও তারুটিয়া গ্রামের সোবাহান আলীর ছেলে আব্দুল মালেক। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বজনেরা। আহত পুলিশ সদস্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আলোকদিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, ফুলজোড় নদীতে বালুমহালের নির্দিষ্ট স্থান ছেড়ে ড্রেজার দিয়ে কৃষকের জমির মাটি কাটা হচ্ছিল। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হয়। এরপরও শুক্রবার সকাল থেকে মহাল ছেড়ে এসে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। পরে এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে ছয়জন গ্রামবাসী আহত হন।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেট তাজুল হুদা বলেন, ‘বালুমহাল নিয়ে ৫/৭ দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) থেকে পুলিশ নৌকা নিয়ে ওই এলাকায় টহল শুরু করেছে। শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করেই টহল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে উত্তেজিত গ্রামবাসী। আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইট-পাটকেলের ঢিলে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রাবার বুলেটে গ্রামবাসীর কেউ আহত হতে পারে, তবে সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই।’