মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ। কৃষকের সোনালী স্বপ্ন লুকিয়ে আছে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে।এই সবুজ ধান ক্ষেত ঘিরে কৃষকের রয়েছে অনেক স্বপ্ন। বাজারে ধানের দাম পাওয়া যায় না।তারপরেও কৃষক ধান চাষ ছাড়ছেন না। ঘরের ধানের ভাত খাবেন এই আশায়। আবার ধান কেটে ঘরে তুলে জমিতে চাষ করবেন রবি শস্য।অনেকে ধান চাষের লোকসান পুষিয়ে নিবেন আলু চাষ করে।
বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবুজের সমারোহ দেখা গেছে। মাত্র একমাস আগে আমন চারা রোপণ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষক। এক মাসের ব্যবধানে বেড়ে উঠেছে আমন চারা। একমাত্র বৃষ্টির পানি ছাড়া কোন সংকটে পড়তে হচ্ছে না কৃষকদেরকে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট থাকায় শ্যালো মেশিনের সেচ দিয়ে আমনের জমিতে পানি দিচ্ছেন কৃষকরা। সার, বীজ, কীটনাশক সংকট না থাকার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ কৃষকের আমন চাষে গতি বাড়িয়েছে আরো এক ধাপ।
গাবতলী উপজেলার মধ্য কথুলী গ্রামের কৃষক আজাহার উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, তিনি শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি আমনের চারা রোপণ করেছেন। শুধু পানি সংকট ছাড়া এবার কোন সমস্যা নাই তাদের। একমাসের মধ্যে চারা বেশ বড় হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, বোরো চাষের লোকসান পুষিয়ে নিতে তিন বিঘা জমিতে আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহে আমন চারা রোপণ করেন। তিনি আশা করছেন আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন ধান ঘরে তুলবেন। বৃষ্টি কম হওয়ায় শ্যালো মেশিনের সেচ দেয়ায় তাদের খরচ কিছুটা বাড়বে বলে জানান এ কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ১২ উপজেলায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হচ্ছে। শ্রাবণ মাসের প্রথম থেকে চারা রোপণ শুরু হয়ে চলবে ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।