পাল্টে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া ঘাটের। পদ্মা নদী পারের জন্য ফেরির অপেক্ষায় যে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে, সেই ঘাটের চিত্র এখন একেবারেই ভিন্ন।
এখন ঘাটে এসে কোনো যানবাহনকে আর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। বরং এখন যানবাহনের জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরেও কাঙ্ক্ষিত যানবাহন না পেয়ে ফাঁকাই ঘাট ছাড়তে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।
তবে দৌলতদিয়ার অপর প্রান্ত মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফাঁকা ফেরিগুলো পাটুরিয়া ঘাট থেকে ট্রাকগুলো সম্পূর্ণ লোড দিয়ে তারপর ঘাট ছাড়ছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ছয়টি পন্টুনেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে ফেরিগুলো। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও পর্যাপ্ত যানবাহন না আসায় ফেরি ফাঁকা রেখেই ছেড়ে যাচ্ছে ঘাট।
তিন নম্বর ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কেরামত আলী ফেরি মাত্র তিনটি যাত্রীবাহী বাস, তিনটি ছোট গাড়ি আর দু’টি কার্গো নিয়েই পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আর কবরি ফেরিটি ঘাটে অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য।
কেরামত আলী ফেরির চালক হাসমত আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এ ফেরিতে এক সঙ্গে ট্রাক হলে ১৮টি, বাস হলে ১৬টি আর ছোট গাড়ি হলে প্রায় ৪০-৪৫টি পার করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমান ঘাটে যানবাহনের চাপ কম থাকায় অল্প যানবাহন নিয়ে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছি। তবে পাটুরিয়া থেকে ফেরি সম্পূর্ণ ভরেই এসেছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহেনর (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ্ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া ঘাটে দিনে গাড়ির চাপ খুবই কম। তাই ফেরিগুলোকে যানবাহনের জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা বাড়ে। অপরদিকে পাটুরিয়াতে পণ্যবাহী ট্রাকের কিছুটা চাপ থাকায় সেখান থেকে ফেরিগুলো ভরে আসছে।