দিনাজপুরের হাকিমপুরে ভুয়া ভাউচার দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ২ মাস অতিবাহিত হলেও উত্তোলনের টাকা দিয়ে আজ পর্যন্ত অফিসে কোনো কাজ করা হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর সাব কম্পোনেন্ট মেইনটেনেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ে উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসের রুটিন মেইনটেনেন্স এর ব্যয়ের জন্য হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান কোনো প্রকার কাজ না করেই রুটিন মেইনটেনেন্স এর ৪০ হাজার টাকা অর্থ ব্যয়ের শর্তবলী লঙ্ঘন করে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম বাতাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, রুটিন মেইনটেনেন্সের ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং উক্ত টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২৩ জুন ভাউচারে খরচ দেখিয়ে উত্তোলন করেছেন। তবে ২ মাসেও রুটিন মেইনটেনেন্সের কোনো কাজ করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯ এ নিন্মমানের পুরস্কার দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে সিনিয়র সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, রুটিন মেইনটেনেন্সের টাকা এসেছে কিনা তিনি কিছুই জানেন না, তবে রুটিন মেইনটেনেন্সের কোনো কাজ করা হয়নি। সবকিছু শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান জানেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসানের সঙ্গে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিউল আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানায়, শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ভুয়া ভাউচার দিয়ে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমার জানা মতে, তিনি একজন সৎ, দক্ষ ও বিচক্ষণ অফিসার। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’