বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে অজ্ঞাত (৩২) এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের তুয়াইংগা ঝিরি নামক স্থান থেকে ওই যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার শরীর থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন ও চোখ উপড়ে গেছে। বাংলাদেশ অংশেই এ যুবকের মরদেহ পড়েছিল। তবে সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাত ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমন চৌধুরী। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মরদেহের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে মাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হতে পারে। কারণ, তার শরীর থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। চোখ ও অন্যান্য জায়গাও বেশ ক্ষত-বিক্ষত।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের পর সীমান্তে মাইন বসায় মিয়ানমার সরকার। মূলত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় মাইন বসানো হয়। কিন্তু অনেক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে এ মাইন বিস্ফোরণে।