নোয়াখালীর জেলা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর এবং তার স্ত্রী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নাজমুন নাহারের নামে-বেনামে অর্জিত ৭ কোটি টাকার বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর বিশেষ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেলা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ আলমগীরকে গত ৫ আগস্ট গ্রেফতার করে দুদক। পরে আদালতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই জামিন পান। তবে তাদের শুনানি অব্যাহত রাখেন আদালত।
নোয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত শুনানি শেষে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলমগীর ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারের নামে-বেনামে অর্জিত ৭ কোটি টাকার বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
একই সাথে তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত এ রায় অব্যাহত থাকবে। অভিযুক্তরা কোন ধরনের সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেন না বলে আদালতের রায়ে বলা হয়।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আশা করি তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায্য রায় পাবে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলমগীর ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার হীরাপুর গ্রামের হাজি আবদুল মন্নানের ছেলে। তিনি ১৯৯৭ সালে ১ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্টেনোগ্রাফার পদে যোগ দেন। এরপর সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমতে স্থাবর সম্পদের হিসাব অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিকের কাছে দাখিল করেন।
ওই হিসাবে মোহাম্মদ আলমগীর উল্লেখ করেন, গ্রামে তার ও স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ নেই, পৈতৃক বাড়িতে তারা বসবাস করেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে দুদক অনুসন্ধানে নামে।