চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ব্যানার থাকলেও রোগীদের জন্য নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। বছর খানেক আগে হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির দুটি ইলেকট্রিক মেশিন বসানো হলেও তা নষ্ট রয়েছে। ফলে বাড়তি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পানি কিনতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে, রোগীদের হেল্পডেস্কের সঙ্গে লাগানো ব্যানারে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার কথা লেখা রয়েছে। তবে এর নেই কোনো দিক নির্দেশনা। মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ পানির দুটি ইলেকট্রিক মেশিন বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতে বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
জানা গেছে, রোগীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বছর খানেক আগে বিশুদ্ধ পানির দুটি ইলেক্ট্রনিক মেশিন বসানো হয়েছিল। তবে ১ মাস পরই তা নষ্ট হয়ে যায়। মেশিন দুটি আজও ঠিক করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মাসুদ রানা নার্স এবং স্টাফদের জন্য প্রতিদিন পানির জারের ব্যবস্থা করেছেন। তবে সাধারণ রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির পোস্টার লাগানো ছাড়া আর কিছুই করেননি অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতালে ভর্তি খাইরুল বিশ্বাস বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি বাইরে থেকে পানি কিনছেন। হাসপাতালে যে কটি পানির ইলেকট্রিক মেশিন রয়েছে, তা সবকটিই বিকল।’
মেডিসিন ওয়ার্ড ছাড়াও সার্জারি ও শিশুদের ওয়ার্ডেও নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। মাস খানেক ধরে নেই ছোট শিশুদের জন্য পানি বা দুধ গরম করার ব্যবস্থা।
শিশু ওয়ার্ডের ভর্তি চায়না বেগম বলেন, ‘এখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া তো দূরের কথা, আমার শিশুর জন্য পানি বা দুধ গরম করবো তারও কোনো ব্যবস্থা নাই।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মাসুদ রানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।