বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং এলাকার ৫ পরিবারের সদস্যদের চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তায় জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে তাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলে যেতে পারছে না ওই সব পরিবারের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় ফসলি জমি দিয়ে যাতায়াত করছে ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জনৈক সোনা মিয়া ফকির খতিয়ানসহ ওই জমি পার্শ্ববর্তী গ্রামের আয়জদ্দি ও বয়জদ্দির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু সোনা মিয়া ও তার ছেলে মাহবুব ফকির এখন ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
এদিকে ২০১৫ সালে তৎকালীন ইউপি সদস্য শহীদ শিকদার পাঁচটি পরিবারের চলাচলের জন্য ওই জমির উপর দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা তৈরি করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি সোনা মিয়া ও তার ছেলে জমিতে বেড়া দেয়ায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্য রশিদ তালুকদার, সুলতান, দোলোয়ার, আউয়াল ও দুলাল জানান, তাদের চলাচলের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তাটি করে দেয়া হয়। কিন্তু সোনা মিয়া ও তার ছেলে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এলাকায় তাদের প্রভাব থাকায় তারা ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না। এমনকি স্থানীয় মেম্বারদের কথাও শোনেন না তারা।
তারা আরও জানান, ওই পাঁচ পরিবারে তিনজন প্রতিবন্ধী থাকায় তাদের চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় নারী মেম্বার সাথী আক্তার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি মাহবুককে রাস্তাটি খুলে দেয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু আমার কথা শোনেনি। উল্টো আমার ওপর চড়াও হয়েছে।’
এদিকে, সোনা মিয়া ও তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপায়ন দাস শুভ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে রাখার অভিযোগ শুনেছি। দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’