বান্দরবানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ৯ দফার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বান্দরবান শহরসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে কোনো ধরনের দূর পাল্লার যাত্রীবাহী বাস স্টেশন ছেড়ে যায়নি। হঠাৎ ধর্মঘটে বান্দরবানের বিভিন্নস্থানে আটকে আছে পর্যটকেরা। বাসের আশায় বাসষ্ট্যান্ডগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি, মাহিন্দ্র এবং জীপ গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাস কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে বান্দরবান শহর ছেড়ে যায়নি পূরবী-পুর্বানীসহ কোনো ধরনের যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু হঠাৎ ধর্মঘটের বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা।’
জানাগেছে, গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ৯ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেন তারা। দাবিগুলো হচ্ছে, পণ্য ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করা ও এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা। আরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনো জরিমানা আদায় না করা এবং হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ না করা। চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় গাড়ি ইকোনমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ রাখা।
এছাড়া, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন ডাম্পিং করা যাবে না। সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএ এর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে গ্রাম সিএনজি ও মেট্রো সিএনজি চলাচলের ক্ষেত্রে আরটিসি এর সিদ্ধান্ত কার্যকর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত ওয়ে স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া। মহাসড়কে পণ্য চুরি-ডাকাতি রোধে বর্তমান আইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন এবং মহাসড়ক ও মেট্রো শহর এলাকায় গণ ও পণ্য পরিবহন যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে চেকিংয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করে নির্দিষ্ট দুটি স্থানে চেকিং পয়েন্ট নির্ধারণেরও দাবি জানিয়েছে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ।
বান্দরবান শৈলসভা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বান্দরবান ছেড়ে যায়নি দূর পাল্লার কোনো যানবাহন। পরবর্তী ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।